বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
গভীর সমূদ্রে সৃস্ট নিম্ন চাপের প্রভাবে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে অবিরাম বৃস্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালের কীর্তনখোলা, মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদীর পানি আজ সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অব্যাহত বৃস্টি এবং নদীর পানির অস্বাভাবিক চাপের কারনে বরিশালের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃস্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। বৃস্টি আরও অন্তত একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা আবহাওয়া বিভাগের।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস জানান, গভীর সমূদ্রে সৃস্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত ২ দিনে বরিশালে ২২৯.৪ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ মিলিমিটার এবং শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১১৬ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। আজ সকাল ৭টায় নিম্নচাপের অবস্থান ছিলো পায়রা সমূদ বন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার এবং মংলা সমূদ্র বন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিন পশ্চিমে। এটি ক্রমশঃই উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে আরও বৃস্টিপাত হতে পারে। এ কারনে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া এবং ৩ থেকে ৫ ফুট উচু জলোচ্ছাস হতে পারে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো. মাসুম জানান, নিম্নচাপের কারনে সমূদ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এর উপর আবার অবিরাম বৃস্টি হচ্ছে। এসব কারনে সমূদ্রে এবং অভ্যন্তরীন নদ-নদীতে জোয়ারের সময় পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল সকাল ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার এবং তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর পানি আবার পিবৎসীমার নিচে নেমেছে।
অব্যাহত বৃস্টি এবং নদীর পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের বিস্তির্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃস্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। নগরীর বগুড়া রোড এবং নবগ্রাম রোড সহ বিভিন্ন সড়কে সৃস্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।
বৃস্টি এবং জলাবদ্ধতার কারনে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বিশেষ করে কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়।